দ্রুত ওজন কমানোর উপায় | ওজন কমাতে খাবার তালিকা

দ্রুত ওজন কমানোর উপায় | ওজন কমাতে খাবার তালিকা - শরীরের জমেছে বাড়তি মেদ । শরীরে জমে থাকা এই বাড়তি মেদ কমাতে আপনাকে কি করতে হবে? ক্যালোরি খরচ করতে হবে । প্রতিদিন যত বাড়তি খাবার খাচ্ছেন ততই জমছে বাড়তি মেদ । 

এই বাড়তি মেদ কমাতে পারলেই ওজন আর বাড়তে পারবে না । আর বাড়তি ক্যালোরি খরচ করতে পারলেই কমতে শুরু করবে আপনার জমে থাকা মেদ । জানতে হবে আপনাকে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় (Druto ojon komanor upay) ।

কথাগুলো শুনতে যত সহজ বলে মনে হচ্ছে আসলে তা মোটেও সহজ নয় । একটি অংক দিয়ে বোঝাই । যদি আপনি এক টুকরো মুরগির মাংস খান তাহলে আপনার শরীরের জমা হবে ১২০ ক্যালোরি । যেখানে ১০০ ক্যালোরি খরচ করতে হাটতে হয় ৩০ মিনিট । অতএব বুঝতেই পারছেন কাজটা কতটা কঠিন ।

ওজন কমাতে খাবার তালিকা | দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

নিম্নে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো । তাহলে চলুন জেনে নেই ওজন কমাতে খাবার তালিকা কেমন হওয়া উচিত এবং কিভাবে শরীরের ওজন দ্রুত কমানো যায় ।

৭ দিনে ওজন কমানোর উপায় | Druto ojon komanor upay

ইদানিং সবথেকে বড় সমস্যা হলো মানুষের ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে । অনেকেই বলে থাকেন তাদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই এতে করে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । আর দ্রুত শারীরিক ওজন বৃদ্ধির কারণে অনেক সমস্যা তৈরীর পাশাপাশি অনেক ধরনের রোগও দেখা দিচ্ছে । তবে এবার চলুন দেখে নেই ৭ দিনের মধ্যে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া বা Druto ojon komanor upay ।

নিম্নলিখিত পানিয় পান করার মাধ্যমে ৭ দিনে আপনার ওজন কমবে .............

একটা বড় লেবুর অর্ধেক, এক চামচ মধু এবং ১ গ্লাস উষ্ণ গরম পানি (২৫০ এমএল) ।

পানীয় তৈরি করার প্রক্রিয়া:

প্রথমে একটা বড় লেবুর অর্ধেক একটা গ্লাসে নিংড়ে নিন । তারপর ১ চা চামচ মধু দিন । এবার গ্লাসের মধ্যে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন । ব্যাস হয়ে গেল আপনার ওজন কমানোর পানীয় ।

এই পানীয় কখন খাবেন:

>> এই পানীয় সকালে খালি পেটে পান করতে হবে ।

>> অনেকেরই লেবু খেলে এসিডিটির সমস্যা হয় তারা দুপুরে খাওয়ার পর খেতে পারেন ।

>> যারা নতুন নতুন ডায়েট শুরু করেছেন তারা মধু বাদ দেবেন । শুধুমাত্র উষ্ণ গরম পানি এবং লেবু মিশিয়ে পান করবেন ।

>> এই পানি পান করার পর আধা ঘন্টার মধ্যে কোন খাবার খাওয়া যাবেনা ।

>> খালি পেটে এই পানীয় পান করে আধা ঘণ্টা চেষ্টা করবেন একটু ব্যায়াম করার জন্য ।

>> আমরা অনেকেই ডায়েট চার্ট বলতে অল্প কিছু ভাত বা একটা রুটি বুঝে থাকি । আসলে এটা কোনো ডায়েট চার্ট এর মধ্যেই পড়ে না । এই পানীয় যখন আপনি পান করবেন আপনাকে সব ধরনের কার্বোহাইড্রেট খাবার ত্যাগ করতে হবে । তাহলে এই পানীয় কাজ করবে ।

>> এই পানীয় পান করার পাশাপাশি অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করবেন ।

উপরোল্লিখিত নিয়মগুলো মেনে চললে অবশ্যই আপনার ৭ দিনের মধ্যে শরীরের ওজন কমতে শুরু করবে ।

ওজন কমানোর খাবার তালিকা | ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্য-সচেতন রা কতো কিছুই না করে থাকেন । বিশেষ করে পরিমিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে ডায়েট কন্ট্রোল করা এর অন্যতম একটি উপায় । শরীরের বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে ওজন কমানোর ডায়েট বেশ কার্যকর । তবে ডায়েট করতে হবে কিছু নিয়মকানুন মেনে, জেনে বুঝে এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী । নয়তো কাঙ্খিত সুফল যেমন পাওয়া যাবে না তেমনি ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়বেন ।

প্রথমে আপনাকে মনে রাখতে হবে ডায়েট মানে না খেয়ে থাকা নয় । ডায়েট মানে পরিমিত সুষম খাবার গ্রহণ । ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার সঠিক পরিমাণে গ্রহণ না করলে কিংবা শুধু কম খেয়ে থাকলে শরীরের উপর এর প্রভাব পড়বে ।

ওজন কমানোর প্রয়োজন থাকলে কিংবা নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখতে চাইলে অবশ্যই বয়স, ওজন, উচ্চতা এবং কতটুকু ওজন কমাতে হবে সে অনুযায়ী ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হবে ।

ওজন কমাতে খাবার তালিকা | দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

আসুন এবার দেখে নেই পুষ্টিবিদ এর দ্বারা তৈরি ডায়েট চার্টটি —

যাদের ওজন ৭০ থেকে ৭৫ কেজি হয়েছে তারা এই ডায়েট চার্ট ফলো করতে পারেন । স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রতি সপ্তাহে আধা কেজি কমানোর জন্য কি কি করতে হবে —

সকালের নাস্তা - সকালের ডায়েট চার্ট

সকাল ৭:৩০ থেকে ৮ টার মধ্যে সকালের নাস্তা করতে হবে ।

রুটি অথবা খিচুড়ি: দুইটি গমের আটার রুটি খাবেন যার ওজন হবে ১০০ গ্রাম অথবা ১ কাপ চাল, ডাল এবং সবজি মিশিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাবেন ।

ডিম: ২ টি ডিম খাবেন কুসুম ছাড়া ।

শাকসবজি: ১ কাপ পাতাযুক্ত শাক এবং আধা কাপ রান্না করা সবজি খাবেন ।

ফল: আমাদের দেশে ঋতুভেদে যে ফল পাওয়া যায় সেগুলো থেকে তাজা ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম এর মতো ফল খাবেন ।

মধ্য সকালের নাস্তাঃ সকাল ১০:৩০ থেকে ১১ টার মধ্যে করবেন

বাদাম: বাদাম খাবেন ৩০ গ্রাম অবশ্যই খোসা ছাড়া ।

শসা বা পেঁপে: একটা বড় শশা অথবা ১০০ গ্রাম পরিমাণ পাকা পেঁপে খাবেন ।

দুপুরের খাবার - দুপুরের ডায়েট চার্ট

দুপুর ১:৩০ থেকে ২ টার মধ্যে দুপুরের খাবার খাবেন

ভাত: ভাত নিবেন দেড় কাপ পরিমাণ ।

মাছ অথবা মাংস: ১২০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ অথবা চর্বি ও হাড় ছাড়া মাংস খাবেন ।

ডাল: এককাপ মাঝারি ঘন ডাল খাবেন ।

শাকসবজি: এক কাপ পাতাযুক্ত শাক এবং দেড় কাপ রান্না করা সবজি খাবেন ।

বিকালের নাস্তা - বিকালের ডায়েট চার্ট

বিকাল ৫:৩০ থেকে ৬ টার মধ্যে বিকালের নাস্তা করবেন

ছোলা অথবা বুট: ছোলা অথবা বুট খাবেন ৩০ গ্রাম ।

ফল: ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম দেশীয় মৌসুমি ফল খাবেন ।

চা অথবা কফি: ১ কাপ চিনি ছাড়া চা অথবা কফি খাবেন । চা অথবা কফিতে ফ্যাট মুক্ত দুধ ব্যবহার করতে পারেন ।

রাতের খাবার - রাতের ডায়েট চার্ট

রাত ৯ টা থেকে ৯:৩০ এর মধ্যে রাতের খাবার খাবেন

রুটি: দুইটা গমের আটার রুটি খাবেন যার ওজন হবে ১০০ গ্রাম এর মতো ।

মাছ অথবা মাংসঃ ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ অথবা চর্বি ছাড়া মাংস খাবেন ।

শাকসবজি: এক কাপ পাতাযুক্ত শাক এবং এক কাপ রান্না করা সবজি খাবেন ।

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়েট করার সময় কোন খাবারগুলো খাবেন আর কোন খাবার খাবেন না ।

ওজন কমাতে যে খাবারগুলো খাবেন না

ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করার সময় চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার, বেশি তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি জাতীয় পানীয়, ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার, প্রাণীজ ফ্যাট, রিফাইন করা বা চকচকে সাদা ময়দা যুক্ত খাবার, মধু বা সিরাপ জাতীয় খাবার, মিষ্টি জাতীয় ড্রাই ফ্রুট, প্রক্রিয়াজাত করা স্নাক্স ফুড, আলু, ভুট্টা, মিষ্টি আলু কখনোই খাবেন না ।

যে খাবারগুলো খাবেন

আঁশ বহুল খাবার যেমন- ডাল, শাকসবজি, ঢেঁকিছাটা চাল, গমের আটার রুটি, এবং টক জাতীয় ফল বেশি বেশি করে খাবেন । টমেটো, গাজর, পাতাযুক্ত শাক, মসুরের ডাল, বাদাম খেতে হবে ।

মনে রাখবেন ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েটের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম এবং দৈনিক ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাটাহাটি বা ব্যায়াম করা খুবই দরকার । দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে । কারণ পর্যাপ্ত ঘুম মেটাবলিজম বা বাড়িয়ে দেয় ।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার পর খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করবেন । সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার চেষ্টা করবেন ।

উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে প্রতি সপ্তাহে আপনার শরীরের আধা কেজি পরিমাণ ওজন কমবে ।

হামদর্দ ওজন কমানোর ঔষধ

হামদর্দ একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানী । সারা বাংলাদেশে এদের শাখা আছে । হামদর্দের বেশ কিছু ঔষধ আছে যে গুলো ওজন কমাতে সহায়তা করে । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ছাফী (SAFI) সিরাপ । এই সিরাপটি আপনার শরীরের ওজন কমিয়ে আপনাকে রাখবে স্মার্ট ।

ছাফী সিরাপ আরও যে যে রোগের জন্য কার্যকর তা হলো ব্রণ, স্কিন রোগ, Dermatologic রোগ, শূলবেদনা কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, Azoospermia ইত্যাদি । এই ঔশধটি ৪৫০ এমএল, ২০০ এমএল, ১০০ এমএল সাইজে পাবেন । ওজন কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন ।

শীতে ওজন কমানোর উপায়

শীতের সময় বাহারী রকমের সবজি পাওয়ায়া যায় । এই সমস্ত সবজিতে আঁশ ও প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যেগুলো অতিরিক্ত ওজন কমাতে সক্ষম । শীতকাল হচ্ছে ওজন কমানোর মোক্ষম সময় । শীতের সময় কম ক্যালোরীযুক্ত এবং সঠিক খাবার গ্রহন করলে সহজেই আপনরা ওজন কমিয়ে আনতে পারবেন ।

শীতকালে যে খাবার বা শাক-সবজি পাওয়া যায় সেগুলোতে প্রচুর পরিমান আমিষ, শর্করা, ভিটামিন থাকে । এসব উপাদান শরীর ঠিক রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে ।

শীতের সময় এ কারনেই বলবো “ভাতের উপর চাপ কমান, বেশি করে সবজি খান”, আর তাহলে আপনার ওজন আপনি কমাতে পারবেন ।

ওজন কমানোর হোমিও ঔষধের নাম

ওজন কমানোর জন্য অনেক প্রকার হোমিও ঔষধ আছে । তার মধ্যে যেগুলো বেষ্ট সেগুলো নিম্নে বর্ননা করা হলো---

আপনার শরীরে যদি অনেক চর্বি জমার ওজন বৃদ্ধি পায় তাহলে প্রত্যেকদিন সকালে ও সন্ধ্যার সময় খালি পেটে Fucus ves Q একটি কাপে অল্প পানিতে ১০ ফোটা ঔষধ মিশিয়ে পান করুন ।

আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত ওজন এবং চর্বি জমে যায় তাহলে হোমিও Phytolacca Berry Q ঔষধটি খেতে পারেন । এটি মানব শরীরের অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধা দেয় । এই ঔষধটি প্রতিদিন সকালে ও বিকালে ১০ ফোটা করে অল্প পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন এবং এর সঙ্গে Phytolacca Berry 3X ঔষধটি (ট্যাবলেট) ১টি করে দিনে ৩ বার হালকা গরম পানি দিয়ে খেতে পারেন । আশা করি ভালো ফল পাবেন ।

শরীরের ওজন ও অতিরিক্ত চর্বি কমাতে Phytolacca Berry ট্যাবলেট খুবই কার্যকর । এই ঔষধটি Schwabe India কোম্পানীর । এই হোমিও ঔষধটি ওজন কমাতে বেশ কার্যকর ।

ওজন কমানোর ইসলামিক উপায়

আমাদের শেষ এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন – পেটের এক-তৃতীয়াংশ পরিমান খাবার খাও, এক-তৃতীয়াংশ পানি খাও এবং এক-তৃতীয়াংশ খালি রাখো । এর থেকেই বোঝা যায় ইসলামে স্বাস্থ্যের প্রতি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ।

এছাড়াও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রোজার মাসে ছাড়াও মাসে তিনি নিজে তিন দিন রোজা রাখতেন এবং সবাইকে রোজ রাখতেও বলেছেন । বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, “প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখো” । (সহিহ বুখারি ও মুসলিম) হযরত কাতাদাহ (রাঃ) বলেন, “বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের (হিজরি মাসের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন” । (আবু দাউদ ও নাসায়ি)

রোজার মাধ্যমে ওজন কমানোর উৎকৃষ্ট উপায় হিসাবে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের দ্বারাই স্বীকৃত । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, রোজা মানবদেহের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে । রোজা শধুমাত্র ধর্ম এর জন্য নয় বরং স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে । শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে রোজা অগ্রনী ভুমিকা পালন করে ।

ওজন কমানোর দোয়া

ওজন কমাতে হলে প্রথমে আপনাকে ডায়েট এবং সময় মতো ব্যায়াম করতে হবে । এর পাশাপাশি আপনি আমল করতে পারেন । এতে করে আপনার কাজটি সহজ হবে । যদি আপনি শুধু আমল করেন তাহলে ওজন কমবে না । মহান আল্লাহ পাক দুনিয়াতে যত রোগ দিয়েছে তার ঔষধও তিনি দিয়েছেন ।

ওজন কমানোর দোয়া হিসাবে আপনি “আয়াতে শিফা” পড়তে পারেন । আয়াতে শিফা হলো পবিত্র আল কোরআনের ৬ টি ভিন্ন ভিন্ন সূরার আয়াত । কঠিন এবং জটিল রোগ থেকে বাঁচতে উক্ত ৬টি আয়াত পড়ে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি পান করলে মহান আল্লাহ পাক রোগ থেকে মুক্ত দেন । “আয়াতে শিফা” শিখতে ইউটিউবে সার্চ করুন ।

ওজন কমানোর ক্যাপসুল

বাজারে ও ফার্মেসিতে ওজন কমানোর ক্যাপসুল অনেক আছে । সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ মতো কিনতে পারেন । সব থেকে ভালো হয় যদি এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এর সাথে কথা বলে ঔষধ খেতে পারেন । তাহলে রিস্ক কম থাকবে এবং ফল ভালো পাবেন । আর নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহন এবং ব্যায়াম করুন তাহলে সুস্থ্য সবল থাকতে পারবেন ।

লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর জন্য লেবু একটি কার্যকরী ফল । লেবুতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন-সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা মানবদেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে বেশ সহায়তা করে । আপনি রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে অর্ধেক লেবুর রসের সাথে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খেতে পারেন । 

এটি অত্যান্ত কার্যকরী একটি উপায় ওজন কমানোর জন্য । আর প্রতিদিনের খাবারের সাথে লেবু রাখতে পারেন যা আপনার ভিটামিন-সি এর অভাব পুরন করার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করবে ।

টক দই দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

টক দই ওজন কমাতে অনেক কার্যকরী একটি উপাদান । এতে আছে মানবদেহের জন্য কিছু উপকারি ব্যাকটেরিয়া যা শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো তাড়াতে সাহার্য করে । টক দই দুধ থেকে তৈরি হলেও এতে ফ্যাটের পরিমান খুবই কম । এতে আছে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম যা ওজন কমাতে সাহয্য করে ।

টক দই রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় ফলে স্ট্রোকের ঝুকি কমায় এবং হার্টের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় । এছাড়া টক দইয়ের সাথে ফল খেলে অতিরিক্ত ক্ষুধা বোধ কমে । যা ওজন কমানোর পক্ষে খুব দরকার । আবার অতিরিক্ত টক দই শরীরের পক্ষে খুব খারাপ । আমাদের সকলেরই উচিত ওজন কমাতে সঠিক নিয়মে টক দই গ্রহন করা ।

শেষ কথা

আশা করি আজকের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় | ওজন কমাতে খাবার তালিকা আলোচনা আপনাদের ভালো লেগেছে । এই রকম আপডেট সমস্ত লেখা পেতে চোখ রাখুন “বেষ্ট ব্লগ বিডি” ব্লগে । এছাড়াও যদি আরও কোনও বিষয়ে লেখা পড়তে চান তাহলে আমাদের জানাতে পারেন ।


অন্য পোস্টঃ উপায় মোবাইল ব্যাংকিং | উপায় মোবাইল ব্যাংকিং কোড

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url